নিজ বাড়িতে বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে মাস্টার্স পড়ুয়া পায়ু পথে ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থী মোঃ মোরশেদ আলম (৩০)। নুন আনতে পান্তা ফুরানো কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন মেধাবী ছাত্র মোরশেদ। চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে গরীব বাবা। মোরশেদকে বাঁচাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে তার সহপাঠিরা।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পোমরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড তিতাগাজি পাড়ার কৃষক মোঃ হারুনের মেজ ছেলে মাস্টার্স পড়ুয়া ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থী মোঃ মোরশেদ আলম বাঁচার আকুতি নিয়ে সামর্থ্যবানদের সহায়তা চেয়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা মোরশেদের বাবা একজন কৃষক, দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। মোরশেদের মা জান্নাতুল নাঈম গত তিন বছর আগে মারা যায়, অসহায় বাবা কোন রকমে একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়ে আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এর ভিতর এতিম মোরশেদের মা মারা যাওয়ার পর জামেউল উলুম ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় চাকরিরত অফিস সহকারী বড় ভাই খোরশেদ বিয়ে করে বউ নিয়ে আলাদা হয়ে যায়। অভাবের সংসারে টিউশনি করে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যায় মেধাবী ছাত্র মোরশেদ।
অসুস্থ অবস্থাতেই চট্টগ্রাম মহসিন কলেজে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারে নি। স্বপ্ন দেখেছিলেন, পড়াশুনা শেষ করে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে বয়সোর্ধ্ব কৃষক বাবাকে অবসরে দিবেন। কিন্তু তা আর হলো না। মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতে এখন তাঁর দিন কাটছে বিছানায়।
মোরশেদ বলেন, 'গত মাসখানেক আগে অসুস্থ অনুভব করায় স্থানীয় ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। পরে অবস্থার উন্নতি না হাওয়াই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ রেজাউল করিম স্যারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রেসক্রাইব করেন, কোলনাস কপি এম আর আই পরিক্ষা দিতে। এতে মলদ্বারে টিউমার আকারে ধরা পড়লে তিনি ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ তানভির হোসেনকে রেফার করলে তিনি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ক্যান্সার শনাক্ত করেন। এ সময় চিকিৎসক যত দ্রুত সম্ভব ইন্ডিয়া নিয়ে চিকিৎসা করানোর সাজেস্ট করেন। ইতিমধ্যে বাবার সর্বশেষ ও বন্ধুদের কাছে দেনা পাওনা করে চিকিৎসা করাতে হিমশিম খেয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমি বাঁচতে চাই, অসহায় বাবার পাশে দাঁড়াতে চাই, আমার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তাই রাঙ্গুনিয়ার অভিভাবক, মানবিক নেতা মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয় এবং সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
মোরশেদের বাবা মোঃ হারুন বলেন, 'আমি একজন কৃষক বিভিন্ন মানুষের জমিতে কৃষিকাজ করে পরিবারের খরচ চলছে, যখন কাজ থাকেনা তখন অন্যের সহযোগিতায় চলতে হয়। আমার বড় ছেলে খোরশেদ মাদ্রাসায় পিয়নের চাকরি করে কোনরকম তারা তার পরিবার চলে। ইতিমধ্যে ছেলের পেছনে ধারদেনা করে চিকিৎসার খরচ করতে হয়েছে। দেশে অনেক মানবিক মানুষ আছেন। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের লক্ষ্যে তাঁরা সাহায্য করলে হায়াত থাকলে আমরা ছেলেটাকে বাঁচাতে পারব।’
মোরশেদের জন্য বিকাশের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাঠানো যাবে। বিকাশ নাম্বার ০১৮৪৩৬১৫৮১৩। এছাড়াও মোরশেদের সাথে যোগাযোগ করা যাবে ০১৮৪৩৬১৫৮১০ নাম্বারে।