প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪, ২:১৩ পিএম (ভিজিটর : ১৫৮)
সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে টানা তিনদিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে বান্দরবানে। এতে করে পাহাড়ী ঢলে খাল ও ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢুকে পড়েছে নিম্ম এলাকায়। এর প্রভাবে থানচি উপজেলার ৪৮কিলো এলাকায় পাহাড় ধসে জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিঘ্নিত সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রধান সড়কেও কোমরসমান পানি জমেছে। পাহাড় ধস হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। তবে কোথাও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় থানচি-বান্দরবান সড়কের ৪৮কিলো এলাকায় রাস্তার উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার সকালে থানচি সড়কের জীবন নগর এলাকায় পাহাড়ের বিশাল একটি অংশ সড়কের উপর ধ্বসে পড়ে। এতে বান্দরবানের সাথে থানচির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস এর লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা থেকে ধ্বসে পড়া মাটি অপসারণে কাজ করছে। বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস এর সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি জানান, পাহাড় ধস হওয়ায় এলাকায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় তারা কাজ করছেন। দ্রুত সময়ে মাটি অপসারণ করা হলে যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ জানান, পাহাড়ী ঢল ও নাফ নদীর উপশাখার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রæ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতেকরে ক্ষতির শিকার হয়েছে অন্তত দুই শতাধিক পরিবার। গত মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাতে পশ্চিমকূল, ক্যাম্প পাড়া, ঘোনার পাড়া, হিন্দু পাড়া, বাজার পাড়া, কোনার পাড়া, মধ্যম পাড়ার মানুষ পানিবন্দি ছিল। এদিকে একই অবস্থা হয়েছে লামা-আলীকদম উপজেলায়। পাহাড়ী ঢল ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই উপজেলায় যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। নিম্ম এলাকায় ঢুকে পড়েছে পানি।
এছাড়া জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও বড় বড় গাছ রাস্তায় এসে পড়েছে। জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে এখনো বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে থানচি সড়কে পাহাড় ধসে যোগাযোগ আপাতত বন্ধ রয়েছে। এছাড়া নিম্ম এলাকায় পানি উঠলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানান তিনি।