ই-পেপার বাংলা কনভার্টার সোমবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ই-পেপার সোমবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৪
Select Year: 
শিরোনাম:




মন্ত্রিসভায় ঠাই পেতে যাচ্ছেন ১৪ দলের নেতারা
আকতার হোসেন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪, ১১:৫৮ এএম  (ভিজিটর : ২৬৬)
দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের আলোচনা শুরু হয়েছে। চলমান সংকটের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদলের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলে মনেকরা হচ্ছে। কবে নাগাদ  এই রদবদল হবে সে সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত করতে পারছে না। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী। গত সোমবার ১৪ দলের বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই আভাস পাওয়া গেছে। 

সূত্রগুলো  জানিয়েছে, যে কোনো সময় মন্ত্রিসভার রদবদল হতে পারে। তবে একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, সরকার বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ মন্ত্রিসভার রদবদল করবে। তবে এই রদবদলে ১৪ দলের শরিকদেরকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে- এটা মোটামুটি নিশ্চিত। আরও দু’একজন রাজনৈতিক মুখকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হতে পারে বলে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। 

সূত্র জানায়, চলমান সংকটের মধ্যে ১৪ দলের শরিকদেরকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দু’বার বৈঠক করেছেন এবং সরকারের ভেতর একটা উপলব্ধি হয়েছে যে আওয়ামী লীগ একা থাকতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ঘনিষ্ঠদের সাথে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে কথা বলছেন। একটি সূত্র বলছে, দু‘একজন মন্ত্রীকে বাদ দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে এই রাজনৈতিক সংকটে রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করাটাই যৌক্তিক হবে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। মন্ত্রিসভায় বড় চমক হিসেবে আসতে পারেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা আমির হোসেন আমু। সূত্র বলছে, আমির হোসেন আমু মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বা মন্ত্রী হতে পারেন এমন একটি গুঞ্জন বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকটি দপ্তরের পরিবর্তনের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় গুলোতে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। 

১৪ দলের শরিকদের থেকে অন্তত তিন থেকে চারজন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্র আভাস দিয়েছে। ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে থেকে রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, দিলীপ বড়ুয়া এবং ফজলে হোসেন বাদশার মন্ত্রী হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া শিরীন আখতারও মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন বলে একাধিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের যারা এই সংকটের সময় মাঠে কাজ করছেন, সারাক্ষণ কর্মীদেরকে অভয় দিয়েছেন এবং দলীয় কর্মকাণ্ডে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন, তাদেরকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ও এস এম কামাল মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহলে আলোচনা চলছে। 

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। সেবার আওয়ামী লীগ তার মহাজোটের সকল শরিকদেরকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করেছিল। আর ২০০৯ সালে মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টি থেকে জিএম কাদের এবং সাম্যবাদি দলের দিলীপ বড়ুয়াকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জাসদের হাসানুল হক ইনু এবং ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননও মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।  

২০১৪ সালের নির্বাচনের পরও আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ভাবে সরকার গঠন করে। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগ একলা চলো নীতি অনুসরণ করছে। সেই নীতির কারণে ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের একক মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে এবং ২০২৪ সালের পর থেকে ১৪ দল অনেকটা  কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবার শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে জামায়াত-শিবির এবং বিএনপি সরকার উৎখাতের যে সহিংস তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছিল সেখান থেকে সরকারের উপলব্ধি হচ্ছে যে একলা চলার নীতি এখন পরিত্যাগ করতে হবে। আর এই কারণেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ১ মার্চ ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হয়। এখন মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৪৪ জন। 





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]