প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪, ৫:৩০ পিএম (ভিজিটর : ১৬৩)
বিচারকের আদেশ জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৯ এর বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) খন্দকার মোজাম্মেল হক জনির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক সুমন চন্দ্র সরকার। আসামিপক্ষে কয়েকজন আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে খন্দকার মোজাম্মেল হক জনি নামে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে আটকের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে একই আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. নূরে আলম বাদী হয়ে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি জনি শেরেবাংলা নগর থানার এক মামলায় ২০২২ সালে ৯ মার্চ ও ২১ মার্চ দুইটি ভিন্ন আদেশ নথিতে লিপিবদ্ধ করেন, যাতে করা স্বাক্ষর অত্র আদালতের বিচারকের নয়। এ মামলায় ২০২২ সালের ২১ মার্চ জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রচারিত আদেশে আসামি অহিদুজ্জামানকে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৯ ধারা অনুযায়ী মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে মুক্তি প্রদানের আদেশ প্রদান করা হয়। মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, বেঞ্চ সহকারী জনি ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল বিচারকের অগোচরে জালিয়াতি করে এক মামলার আসামি নাসির উদ্দিন ও আশিকুর রহমানকে প্রবেশন প্রদানের আদেশ কজলিস্ট ও কোর্ট ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করেন।
আসামি খন্দকার মোজাম্মেল হক জনি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে এমন অপরাধ করেছেন বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।