দক্ষিণ কোরিয়ান বৈদ্যুতিক ক্যাবল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলএস ক্যাবল এন্ড সিস্টেম লিমিটেডের বিরুদ্ধে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে দিয়ে কাজ করিয়ে পাওনা টাকা পরিশোধ না করে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প পরিচালক স্যাম ইউকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৯ জুনের মধ্যে আসামি স্যাম ইউকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় আসামির
অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এলএস ক্যাবলের প্রকল্প পরিচালক স্যাম ইউয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ৮৭ ও ৮৮ ধারার বিধান মোতাবেক উক্ত আসামির বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অত্র অভিযোগ আদালতের বিশ্বাস করার কারণ এজন্য রয়েছে যে, আসামি গ্রেফতার এড়াবার জন্য পলাতক রয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, এলএস ক্যাবল বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সরবরাহ ও প্রতিস্থাপনের কাজ করে আসছে। এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তারা বাংলাদেশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের সঙ্গে তাদের লোকাল এজেন্ট এবং সাব কন্ট্রাক্টর হিসেবে চুক্তি সম্পাদন করে। কাজ শুরুর প্রথম দিকে তারা চুক্তির শর্ত মোতাবেক চলমান বিল উত্তোলন করে তা পরিশোধ করতে থাকে। পরবর্তীতে তারা চলমান বিল পরিশোধ না করে তাদের নিজস্ব একাউন্টে জমা করতে থাকে। পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্সের পক্ষ থেকে একাধিক আবেদন জমা দিলেও তারা কোনো টাকা পরিশোধ করেনি। কোরিয়ান এ কোম্পানিটির সাথে সম্পাদিত ৪টি চুক্তিতে বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রায় ৪৮ কোটি টাকা এলএস ক্যাবল এন্ড সিস্টেম লিমিটেডের কাছে আটকে আছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাওনা টাকা ফিরে পেতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।