ই-পেপার বাংলা কনভার্টার বুধবার ● ১৮ জুন ২০২৫ ৪ আষাঢ় ১৪৩২
ই-পেপার বুধবার ● ১৮ জুন ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




মাটির পাত্রে সংরক্ষণ করা পানি খেলে মিলবে ১১ উপকার
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪, ৫:৫০ পিএম  (ভিজিটর : ৮০২)
ঠান্ডা পানি পানের কথা এলেই হাত চলে আসে ফ্রিজের কাছে। ফ্রিজের পানি স্বাস্থ্যসম্মত নয় জেনেও পান করি। এতে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এক সময় গরমে পানি পানের জন্য মাটির কলসি বা মটকার প্রচলন ছিল। মাটির পাত্রের ঠান্ডা পানিতে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। শরীরকে সহজেই শীতল করে। 

ফ্রিজের পানির মতো ক্ষতিকর নয় বরং শরীরের অনেক রকম উপকার করে। শহরের বাড়িতে এখন কলসির প্রচলন নেই বললেই চলে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাটির তৈরি কলসি, ঘটি, জগ, মটকা প্রভৃতির পাত্রে পানি পানের সুফল এক নয়, একাধিক। বিশেষ করে গরমকালে এ মাটির পাত্রে পানি রাখলে পানি যেমন ঠান্ডা থাকে, তেমনই উপকৃত হয় শরীরও। উপকারগুলো জেনে নিই।

প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা থাকবে পানি

মাটির তৈরি পাত্রে থাকে অসংখ্য অণু অণু ছিদ্র। যা খালি চোখে দেখা যায় না। এসব ছিদ্র দিয়ে অল্প পরিমাণ পানি পাত্র চুইয়ে বাইরে আসে। তাই পাত্রে একটু ভেজা ভেজা ভাব ভেসে ওঠে। ফলে পানি বাষ্পীভূত হয়। বাষ্পীভূত হওয়ার সময় কিছুটা তাপ শোষণ করে নেয়। ফলে ঠান্ডা থাকে পাত্র ও পানি।

পানির স্বাদ ও সতেজতা ভালো থাকে

মাটিতে থাকা বিভিন্ন খনিজের কারণে পানির স্বাদ বেড়ে যায় অনেকটাই। মাটির পাত্রের ছিদ্রযুক্ত পৃষ্ঠ বাতাস চলাচলের জন্য উপযুক্ত। ফলে পানির সতেজতা বজায় থাকে।

দেহে খনিজ পদার্থ সরবরাহ

মাটির পাত্রে পানি রাখলে পানিতে হরেক রকমের খনিজ পদার্থ মেশে। ফলে দেহে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানগুলোর অভাব হয় না। ভালো থাকে বিপাক প্রক্রিয়াও।

অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় থাকে

মাটির পাত্রের পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ মেশে। পাশাপাশি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। অর্থাৎ আমাদের পৌষ্টিকতন্ত্রে খাবার হজমের জন্য অনেক রকম অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। মাটির পাত্রে পানি রাখলে পানিতে ক্ষারজাতীয় উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ পানি পান করলে পেটের বিভিন্ন রকম অ্যাসিড কিছুটা প্রশমিত হয়, অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় থাকে।

পরিবেশবান্ধব

প্লাস্টিকের বোতলের তুলনায় মাটির পাত্র পরিবেশবান্ধব। আবার কাচের বোতলের চেয়ে মাটির পাত্র অনেক সাশ্রয়ী। তাছাড়া মাটির পাত্রগুলো প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি করা হয় পরিবেশগতভাবে টেকসই। এতে আমাদের প্লাস্টিকের ওপর নির্ভরতা কমায়।

বিপাক বাড়ায়

প্লাস্টিকের পরিবর্তে মাটির গ্লাস বা পাত্রে পানি পান করা হলে তা টেস্টস্টোরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। মাটি প্রাকৃতিকভাবে পানি ঠান্ডা রাখে। ফলে তা শরীরের বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে।

পুষ্টির সংরক্ষণ

প্লাস্টিক বা ধাতব পাত্রে পানি রাখলে ক্ষতিকারক রাসায়নিক বা দূষিত পদার্থ মিসে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে মাটির পাত্রে এ ভয় নেই। পানির প্রাকৃতিক গঠন অক্ষত রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং খনিজ সংরক্ষণ করে মাটির পাত্র।

শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে

গরমে প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা পানি শরীরের পক্ষে খুবই সহায়ক। এ পানি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। ফলে শরীর থাকে অনেকটাই সতেজ। এতে কোনো ধরনের রাসায়নিক থাকে না। যে কারণে এ পানি পানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও নেই।

রোদের তীব্রতা থেকে বাঁচায়

গরমে রোদের তীব্রতা থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে মাটির পাত্রে রাখা ঠান্ডা পানি। এটি সান স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দেবে। মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করলে শরীরের গরম অনেকটাই কমে গিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়।

টক্সিন দূর করে

লোহা, স্টিল কিংবা প্লাস্টিকজাতীয় পাত্রে পানি রাখলে সেখান থেকে নানা ধরনের দূষিত পদার্থ ঢুকতে পারে শরীরে। কিন্তু মাটির পাত্রে পানি রাখলে এমন সম্ভাবনা নেই বরং শরীরে টক্সিক কেমিক্যালের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

আরোগ্য লাভ

খনিজ উপাদান এবং ইলেস্ট্রম্যাগনেটিক শক্তিতে সমৃদ্ধ থাকে কাদা-মাটি। তাই মাটির পাত্রে পানি সংরক্ষণ করা হলে তা পানির আরোগ্য ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মাটির পাত্রে পানি পানের অনেক উপকার সত্ত্বেও মনে রাখতে হবে, আমাদের সবার স্বাস্থ্য সমান নয়। অতএব, এমতবস্থায় যদি কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]