আগামী ২১ জুন দ্বিপাক্ষিক সফরে দিল্লী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঐ বৈঠকে তিস্তা চুক্তি ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার কয়েকটি অমীমাংসিত ইস্যু উঠতে পারে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করতে পারেন শেখ হাসিনা। এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা সই হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে । পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ৮ থেকে ১০ জুন দিল্লি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের সময় তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেন। এছাড়া কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াংকা গান্ধি হোটেলে এসে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্যে স্বাক্ষাত করেন। এছাড়া বিজেপির প্রবীন নেতা এল কে আদভানীর বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে সৌজন্যে স্বাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে তিস্তা চুক্তির তাগিদ দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিস্তা চুক্তির ইস্যু উত্থাপন করাও হয়েছে। একইসঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়েও সমাধানে যেতে চায় উভয়পক্ষ। তা এবারের সফরের সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তি ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা বিষয়কে অধিক গুরুত্ব দেয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি ঢাকা-দিল্লি উভয়পক্ষই সীমান্ত হত্যা শূন্যের ঘরে নামিয়ে আনার বিষয়ে দুই দেশের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবার আরো বিস্তৃত পর্যায়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে শুল্ক-অশুল্কে যে বাধা রয়েছে তা নিরসনেও আলোচনা হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়ও উঠতে পারে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে ।
এই বিষয়ে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে অনেক বিষয় জড়িত। যেহেতু উভয় সরকার দেশ পরিচালনায় অব্যাহত রয়েছে, সেহেতু একসঙ্গে কাজ করার কিছু সুবিধা আছে। উভয় দেশের জনগণ বিভিন্ন দিক থেকে উপকৃত হচ্ছে, যার মধ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে যোগাযোগ পর্যন্ত রয়েছে। দুই দেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত এবং আরও গভীর হবে বলে আশা করছেন তিনি।
এদিকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফর নিয়ে জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সইয়ের কথা রয়েছে । পারস্পরিক সহযোগিতার কিছু ক্ষেত্রে কিছু ঘোষণাও আসতে পারে। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।