মানিকগঞ্জে ভূয়া র্যাব পরিচয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ৯৫ ভরি স্বর্ণ ডাকাতি ও ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার এগারো দিন পর অভিযান চালিয়ে ৪৮ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার ও ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ জুন) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জের কুচিয়ামোড়া টোলপ্লাজা থেকে ডাকাত সিদ্দিক শেখকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর ডাকাত শাহ আলম মিয়াকে রাজবাড়ীর শ্রীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতদলের সদস্য শাহ আলম মিয়ার বসতবাড়ির গোয়ালঘরে মাটি খুঁড়ে এ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার রঘুনাথপুর এলাকার আহম্মেদ শেখের ছেলে সিদ্দিক শেখ (৫০) ও রাজবাড়ী জেলার সদর থানার শ্রীপুর এলাকার মৃত আবুল কালাম মিয়ার ছেলে শাহ আলম মিয়া (৪৮)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে গোলাম আজাদ খান বলেন, স্বর্ণ ডাকাতি ও ব্যবসায়ীকে অপহরণ মামলার তদন্তকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত দলের সদস্য সিদ্দিক শেখকে গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার কুচিয়ামোড়া টোলপ্লাজা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সিদ্দিক শেখের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতদলের অপর সদস্য শাহ আলম মিয়াকে বিকেল পাঁচটার দিকে রাজবাড়ী জেলার শ্রীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শাহ আলম মিয়ার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার নিজ বসতবাড়ির গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে ৪৮ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে, গত ১ জুন (শনিবার) সকাল ৭টার দিকে জেলার সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে ঢাকার দোহারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ি ও তার সাথে থাকা আরো ৩ সঙ্গীকে ৯৫ ভরি স্বর্ণসহ জোরপূর্বক র্যাবের স্টিকারযুক্ত মাইক্রোবাসে তোলে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে উপজেলার গোলাইডাঙ্গা এলাকা থেকে ডাকাত দলের গাড়ির গতিরোধ করে এক র্যাব সদস্যসহ ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।