ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু শেষ করে যেতে পারেন নি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে হবে। আর স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে স্মার্ট নাগরিকের পাশাপাশি স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থপনা প্রয়োজন।
বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে ভূমি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ: স্মার্ট ভূমিসেবা ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ যদি স্মার্ট ভূমিসেবা সম্পর্কে না জানে তাহলে আমাদের একার পক্ষে এটা অনেক সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠবে। আমরা যারা শিক্ষিত তারাও ভূমির অনেক বিষয়ে জানি না। তাই নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ভ‚মি সংক্রান্ত বেশকিছু বিষয় রাখা হয়েছে। যাতে অন্তত কেউ নবম শ্রেণি পযর্ন্ত পড়লে ভ‚মি সংক্রান্ত কিছু ধারণা পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, ভূমি সপ্তাহ উদযাপনের পরেও সারাবছর অফিসে ভূমিসেবা বিষয়ক কর্মকান্ডে চালিয়ে যাওয়া জরুরি। একদম জেলা থেকে ইউনিয় পযর্ন্ত সব জায়গায় ভূমি সংক্রান্ত সকল বিষয় হাতে কলমে শেখানো হবে। অনলাইনের মাধ্যমে একজন গ্রাহক যাতে ঘরে বসে ভ‚মিসেবা নিতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কৃষি জমিতে বড় বড় বিল্ডিং বানিয়ে মানুষ ঘর তৈরি করছে। কিন্তু শুধু ঘর থাকলে হবে না আপনাকে দু’বেলা ভাতও খেতে হবে। তাই কৃষি জমি, নদী ও পুকুর সংরক্ষণের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নদীর পাড় কোনভাবেই ভরাট করা যাবে না। যেভাবে মানুষ জমি, পুকুর ভরাট করে ঘর তৈরি করছে তাতে আজ থেকে ৫০ বছর পর আর কোন কৃষি জমি অবশিষ্ট থাকবে না।
এসিল্যান্ড অফিসারদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, তারা যেন তাদের অফিসে যাওয়া প্রত্যেক নাগরিকদের সম্মান দিয়ে কথা বলেন। তাদের সমস্যাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনে কিভাবে তা সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ দিবেন এবং আপনারা জনগণের কাছে স্মার্ট ভ‚মিসেবার বিষয়টি ভালো করে বুঝিয়ে বলবেন। ফলে অদূর ভবিষ্যতে ভ‚মি সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা একেবারে কমে যাবে। জনগণকে খুব প্রয়োজন ছাড়া ভূমি অফিসে যেতে হবে না। তারা ঘরে বসেই সকল সেবা অনলাইনের মাধ্যমে পেতে পারে।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্যে করেন সহকারী কমিশনার ভূমি নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) এমদাদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায় বক্তৃতা করেন। এসময় অসংখ্য ভূমি সেবাগ্রহীতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে মন্ত্রী ভ‚মিসেবা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন এবং ভ‚মি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চেক বিতরণ করেন। এছাড়াও মহানগরে ভূমিসেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সার্কেলের ভূমি অফিসের মাঝে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মাঝে সনদ প্রদানের শেষে তিনি ভূমিসেবার সকল স্টল ঘুরে দেখেন।
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল পোশাক কারখানার গুদাম
চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি পোশাক তৈরির কারখানার গুদামে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সকালে নগরীর উত্তর কাট্টলীর সিটি গেইটের মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজের পাশে গার্টেক্স গার্মেন্টসে এ ঘটনা ঘটে।আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিলো ফায়ার সার্ভিসের ছয় ইউনিট।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জানান, সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সিটি গেইট এলাকায় একটি পোশাক কারখানার গুদামে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে বেগ পেতে হয়। আগুন লাগার পরপরই কারখানায় থাকা শ্রমিকরা বের হয়ে যায়।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রাব্বানী বলেন, গার্মেন্টসের ওয়্যার হাউজ থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে আমরা জানতে পেরেছি। ওখানে বিভিন্ন কাপড়, ফোমসহ নানা এক্সেসরিজ ছিল। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে আসি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও এসে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেছিলো।