প্রকাশ: বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪, ৫:৫৬ পিএম (ভিজিটর : ৫০০)
হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ ধূমপানমুক্ত থাকার কথা থাকলেও ৮৮ শতাংশ হাসপাতাল এবং ৫৮ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর ধূমপানের চিত্র এক গবেষণায় উঠে এসেছে। টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) এর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ৫৭ শতাংশ পাবলিক প্লেসে এবং ৪৪ শতাংশ পাবলিক পরিবহণে ধূমপান করতে দেখা গেছে। বিভাগীয় শহরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের অবস্থা সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা যায়, ৪২ শতাংশ পাবলিক প্লেসে এবং ৩৭ শতাংশ পাবলিক পরিবহনে ধূমপানমুক্ত সাইন পাওয়া গেছে। হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ ধূমপানমুক্ত থাকার কথা থাকলেও ৮৮ শতাংশ হাসপাতাল এবং ৫৮ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর ধূমপান করতে দেখা গেছে। ১০০ শতাংশ লঞ্চ-ফেরীতে ধূমপান করতে দেখা গেছে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান শুধু ধূমপায়ীকেই নয়, আশেপাশের সকলকে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি করছে।
বুধবার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি (ডাস্) ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত “পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের অবস্থা” শীর্ষক গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। সম্প্রতি ‘৮টি বিভাগীয় শহরে এ পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণাটি চালানো হয়।
গবেষণার সুপারিশে বলা হয়েছে সকল পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে, এছাড়াও আইন লঙ্ঘন করে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ছাড়াই তামাকজাত দ্রব্যে বিক্রয় করলে মামলা করাসহ তামাকজাত দ্রব্যে বিক্রয়ে লাইসেন্স বাধ্যতামুলক করতে হবে। পাশাপাশি জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা/ স্যানিটারি কর্মকর্তার মাধ্যমে আইনভঙ্গ সংক্রান্ত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং মনিটরিং রির্পোট সভায় উপস্থাপন করতে হবে। এছাড়া নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা এবং এর প্রতিবেদন টাস্কফোর্স কমিটি ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলে প্রেরণ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার মনিটরিং এ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিষয়টিও মনিটরিং করা জরুরি।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের পরামর্শক হোসেন আলী খোন্দকার, ট্যুরিস্ট পুলিশ ঢাকা রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক পিপিএম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি)-এর মহাব্যবস্থাপক(প্রশাসন) জেসমিন আরা বেগম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)’র ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ডাস্-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন টিপুসহ আরও অনেকে।