ই-পেপার বাংলা কনভার্টার শনিবার ● ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ৫ মাঘ ১৪৩১
ই-পেপার শনিবার ● ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




কোটা ইস্যুতে তৃতীয় দিনের মতো ঢাবিতে ব্যাপক সোডাউন
ঢাবি
প্রকাশ: রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪, ১:২৩ পিএম  (ভিজিটর : ৩১৫)
সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের ইস্যুতে ৩য় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার ( ৯ জুন) সকাল ১১টায় টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। যা পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, শ্যাডো, টিএসসি হয়ে রাজু ভাস্কর্যে বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, কোট বৈশম্যেইরই অপর নাম। এ কোটার মাধ্যমে মেধাবীরা তার যোগ্য আসন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারি চাকরিতে কোট প্রথা স্বাধীনতা চেতনার বিরোধী বলে দাবি করেছেন কোট বিরোধী আন্দোলনকরা শিক্ষার্থীরা। ফলে এ কোটা পুনর্বহাল ইস্যুতে কোট ছাড় দিতে অস্বীকার করেছে শিক্ষার্থীরা। দ্রুততর সময়ের মধ্যে দাবি না আদায় হলে দেশের প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে রাজপথে তীব্র আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন তারা। 

এর আগে এদিন সকাল ১০টায় কোটা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

বিক্ষোভ মিছিলে হাজারো শিক্ষার্থীদের জড়ো হয়ে বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানবো না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়/ স্বাধীনতার বাংলায়, কোটার ঠাই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানবো না’,  'সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা, মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা সুযোগের সমতা', 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা', 'সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে', 'একাত্তরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

তারা বলেন, আমরা সংবিধানের বাহিরে যেতে পারি না। সংবিধান চাকরিতে সুযোগের সমতার নিশ্চিত করেছে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা প্রকৃত মেধাবীদের হাতে দেশকে তুলে দিন। তারাই দেশের উন্নতির পথ খুঁজে নিবে। ২০১৮ তে আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা বুকের রক্ত দিয়ে কোটা প্রথা নামক অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছিল। সুযোগের সমতা নিশ্চিত না করলে ছাত্ররা রাজপথের মাটিকে আকড়ে ধরবো। 

ঢাবি শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, আমি নারী হয়ে বলছি আমি নারী কোটা চাই না। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই। মেধাবীরা যোগ্যতার বলে চাকরি পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপেক্ষা করে যে রায় দিয়েছে তা আমরা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রিহাম বলেন, আমরা হাইকোর্টের রায়কে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করছি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন কোটা প্রথা বিদ্যমান রাখার জন্য কিন্তু আমরা বলতে চাই ওনি কি সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষামন্ত্রী নাকি ২% শিক্ষার্থীর মন্ত্রী?

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, এই দেশে দীর্ঘদিন ধরে কোটা নামক একটা বৈষম্য চলে আসছিল। যেই বৈষম্য যেই প্রহসন এদেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্র সমাজের জন্য হয়ে উঠেছিল অভিশাপ। ২০১৮ সালে আমার ভাইয়েরা রক্ত দিয়ে সেই বৈষম্য থেকে ছাত্র সমাজকে মুক্তি দিয়েছিল। আমাদের ভাইয়েরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যেই অধিকার আদায় করেছিল সে ছয় বছর পর ২০২৪ সালে এসে হাইকোর্ট তার কলমের খোঁচায় আবার সেই বৈষম্যকে পুনবার্সন করতে চাচ্ছে। অবিলম্বে হাইকোর্টের এ রায় প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে ছাত্রসমাজ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। ছাত্রজনতা মৃত্যু হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজপথে মাটি আঁকড়ে থাকবো আমরা। আমি রাষ্ট্রকে আহ্বান জানাবো অবিলম্বে আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ছাত্র সমাজকে মুক্তি দেওয়া হোক, মেধাবীদের মুক্তি দেওয়া হোক।

উল্লেখ্য, সরকারি নিয়োগের দুই শ্রেণিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সম্প্রতি সেটি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত।  এ নিয়ে  ক্ষোভে ফুসে উঠেছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]