ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমানায় কৃষক বিক্ষোভ চলাকালীনই প্রাণ হারালেন ২ কৃষক।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বৃদ্ধ মনজিৎ সিং( ৭০)। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জ্ঞান সিং (৭৮) বিক্ষোভের মাঝেই প্রাণহানি ঘটে।
পাটিয়ালা জেলার কনথালা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মনজিৎ সিং। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) কনৌরি সীমানার কাছে বিকেইউ ইউনিটের হয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন তিনি। জানা গেছে, তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। অচেতন অবস্থাতেই তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে রজিন্দ্র হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরই মনজিৎ সিংকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গুরুদাসপুর জেলার বাসিন্দা জ্ঞান সিং ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়ে ছিলেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চলতি কৃষক বিদ্রোহের প্রথম "বলি" তিনিই। পাঞ্জাব- হরিয়ানা সীমানায় শম্ভু বেরিয়ারে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ই প্রাণ হারান তিনি।
এদিকে, দীর্ঘ বিদ্রোহের পর রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) অবশেষে বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী ৫ বছরের জন্য কৃষকদের থেকে নূন্যতম সহায়ক মূল্যে শস্য কিনবে কেন্দ্র এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রীরা। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। হাজির ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান ও। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) মাঝরাত পর্যন্ত ২ পক্ষের আলোচনা চলে।
তারপরেই গোয়েল জানান, কৃষকদের জন্য বিশেষ প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্র। তবে এই প্রস্তাব আদৌ মেনে নেওয়া হবে কি না, সেই নিয়ে আলোচনার জন্য ২দিন সময় চেয়েছেন কৃষক নেতারা।