প্রকাশ: রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৫:২৭ পিএম (ভিজিটর : ১০৪৪)
দেশে প্রথমবারের অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) গ্লোবাল সামিট ২০২৪। ১৮-২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন শুধু বাংলাদেশে নয়; দক্ষিণ এশিয়ায় এই প্রথম। নয় দিনের এই সম্মেলনে দুই হাজারের অধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষক এবং শিক্ষাবিদ অংশগ্রহণ করবেন। আর স্পিকার হিসেবে থাকবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ৫০ জন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং দেশের ১০০ জনেরও অধিক খ্যাতিমান চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ । নয় দিনের সম্মেলনে থাকছে ৩০ টির বেশি কোর্স এবং সাইন্টিফিক সেশন ।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) এর চেয়ারপারসন ডা. তাসবিরুল ইসলাম। পিএইচএ হলো বাংলাদেশি ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভুদ চিকিৎসক, গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা সংগঠন। করোনাকালীন এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সাড়ে তিন বছর ধরে সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের চিকিৎসা শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে পিএইচএ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনের মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন শুরুর আগে ১৮, ১৯, ২০, ২২, ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫টি সম্মেলন পূর্ববর্তী কোর্স অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের পরে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আরো তিনটি কোর্স। দেশের বৃহৎ কয়েকটি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে হতে যাওয়া লাইভ সেশনগুলো দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছে নবীন চিকিৎসকগণ নানা জটিল বিষয়ে হাতে কলমে শেখার সুযোগ পাবেন। ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে সামিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫ টায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) এর চেয়ারম্যান ডা. তাসবিরুল ইসলাম বলেন, বলেন, সম্প্রতি এক অভিনেতা হাট র্অ্যাটাকে মৃত্যুও প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তাকে যদি কেউ সিপিআর দিতো তাহলে তার কিন্তু বেঁচে যাওয়ার সম্ভবনা ছিলো। জানা থাকলে এই সিপিআর যে কেউই দিতে পারেন। সেজন্য আমরা চাচ্ছি এই বিষয়গুলো সকলকে জানতে, সচেতন করতে। মানুষ সচেতন থাকলে অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের মেডিক্যাল চিকিৎসার শিক্ষাক্রমে যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে।উন্নত দেশ গুলোর তুলনায় আমাদেও মেডিক্যাল শিক্ষা চার থেকে পাঁচ বছর পিছিয়ে রয়েছে। একারণে সম্প্রতি বিদেশি শির্ক্ষাথী ভর্তি অস্বাভাবিক ভাবে কমে গেছে। আমরা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে মিলে কারিকুলাম উন্নয়নের চেষ্টা করছি। আশাকরি ৪-৫ বছরের মধ্যে একটি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো।
এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিএইচএ -এর ট্রাস্টি ডা. জাকেরুল্লাহ, ওমর শরীফ, গাইনোকোলজিস্ট ডা. রেহানা ইয়াসমিন জামান, লিভার বিশেষজ্ঞ ডা.আশরাফ মালিক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ আসিফ আরাফাত সিদ্দিক। বক্তারা আরো বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় পিছিয়ে বাংলাদেশ। বিশেষ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরির্চার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
মূলত স্বাস্থ্য সেক্টরে বাজেট অস্বাভাবিক কম হলে কাঙ্খিত সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে বাংলাদেশ অনেক দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। অর্থনীতির কলেবর বেড়েছে। আশা করছি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যেসব দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। দেশের রোগীরা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়। আমাদের প্রত্যাশা আমরা যেভাবে কাজ করছি সকলের সহযোগিতা পেলে বিদেশ থেকে রোগীরা এদেশে চিকিৎসা নিতে আসবে। আমাদের যেতে হবে না।