প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:১৭ পিএম আপডেট: ১৩.০২.২০২৪ ১২:১৯ পিএম (ভিজিটর : ২৯০)
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হলেও পাচ্ছেন না ভাতা পেটের দায়ে ঢাকা শহরের ফুটপাতে ঘুরছেন ফেরিওয়ালা হয়ে, তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চান্দপুর গ্রামের মৃত মহাদেব দাসের ছেলে মক্তিযোদ্ধা সুবেন্দু কুমার দাস মেঘলাল ওরফে বাবুল মিয়া।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক গেজেট ২০০৫ এর তালিকা ভুক্ত একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা। তাঁর (গেজেট নং ১৮৬১)। স্বাধীনতা সংগ্রামে সুনামগঞ্জ ৪ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর মোতালিব এর অধিনে যুদ্ধ করেছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে মুক্তিযোদ্ধা সুবেন্দু কুমার মো: বাবুল মিয়া নাম ধারণ করেন। জীবিকার তাগিদে ১৯৮৩ ইং চলে যান রাজধানী ঢাকায় স্হায়ী ভাবে সে খানেই বসবাস করায় আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। এই সুযোগে মেঘলালকে মৃত দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উত্তরাধিকারী সনদ মৃত্যু সনদ তুলে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার ভাতাও নিয়মিত উত্তোলন করে পকেট ভারি করছিলেন গ্রামের বাড়িতে থাকা ভাই জহর লাল। ১৮অক্টোবর ২০২৩ ইং দৈনিক ভোরের ডাক এর পৃষ্ঠা-৭ দিরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত বানিয়ে ভাতা তুলছেন সহোদর ভাই শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। বন্ধ হয় জহর লালের তুলে নেওয়া মুক্তিযোদ্ধার ভাতা।
মুক্তিযোদ্ধা সুবেন্দু কুমার দাস মেঘলাল ওরফে বাবুল মিয়া ভোরের ডাক-কে জানান আমি যখন জানতে পারি আমার ভাই আমাকে নিয়ে এমন সরযন্ত্র করছে তখন বিষয়টি নিয়ে অসংখ্য বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাসের কাছে গিয়েছি আমার ভাতা আমার নামে তুলতে উনার প্রত্যয়নপত্র চাইছি কিন্তু উনি চেয়ারম্যান হলেও আমার পাড়ার লোক। জেনে শুনেও প্রত্যয়নপত্র দিতে চাননি।
পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হওয়ার পর তিনি বললেন এলাকার লোকজন যদি মেঘলাল ও বাবুল মিয়া একই ব্যক্তি বলে সনাক্ত করে তাহলে তিনি প্রত্যয়নপত্র দিবেন, কথা অনুযায়ী আমার এলাকায় গেলে চারজন মুক্তিযোদ্ধা সহ অর্ধ শত লোকজন আমাকে চিনে বলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে। সেই স্বাক্ষরিত কাগজের ফটোকপি চেয়ারম্যান কে দিলেও নানান টালবাহানা দেখিয়ে আমাকে নিরাশ করেন। কি আর করবো মুক্তিযোদ্ধা হয়েও হকারি করে পেট চালাতে হয় । প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আরজ আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার ভাতা আমাকে দেওয়া হোক।
এব্যাপারে করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস লিটু'র সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মেঘলাল ও জহর লাল আমার পরিচিত, পাড়াপড়শিরই লোক। তাদের উভয় ভাইকে নিয়ে বসছিলামও একটা সুরাহার আশায়। প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছেন না এ প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান জানান বিষয়টি আমি আবারও গুরুত্ব দিয়ে দেখবো।