Published : Sunday, 19 November, 2023 at 12:09 PM, Update: 19.11.2023 12:37:40 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে গত বুধবার ককটেল বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ক্যাম্পাসে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন ভিসি চত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণে স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের (২০১৫-১৬ সেশন) শিক্ষার্থী ও মাস্টার দা' সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাবেক উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মঈনুল ইসলাম নামে একজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননানুযায়ী, রাতে ভিসি চত্ত্বরে হঠাৎ করে একটি মটর বাইকে করে এসে দুইজন ব্যক্তি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় আশেপাশে থাকা মানুষজনের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর একটু পরই ঘটনার প্রতবাদ জানিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে এবং মটর সাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে শাহবাগ থানার পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম আসে।
ঘটনাস্থলে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষক তার ফেসবুক একাউন্টে লেখেন, এইমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীরা তিনটি ককটেল বিস্ফোরন করেছে। তার একটি সরাসরি আমার পায়ের কাছে বিস্ফোরিত হয়েছে। বড় দুর্ঘটনার হাত রক্ষা পেয়েছি।
রাফসান হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, রাতে ভরপুর মানুষের ভীড়ে ৩ টি ককটেল ফাটল ভিসি চত্বরে। ভয়ে মানুষ ছুটাছুটি শুরু করলো। একজন টিচার অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন। এই ককটেল মৃত্যু বয়ে আনতে পারে, শরীরের কোনো অঙ্গ-প্রতঙ্গের ক্ষতি করে আজীবনের জন্য পঙ্গু করতে পারে যে কাউকে। ঐদিন মারলো রোকেয়া হলের সামনে। আজকে ভিসি চত্বরে। কাল যে কলাভবনে বা হলের ভিতর মারবে না তার নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় প্রশাসনের কাজ কি? ছাত্রলীগ বলে ছাত্রদল মারে, ছাত্রদল বলে ছাত্রলীগে মারে। যেই মারুক, এটাতো ঠিক নয়। ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অপরাধীর সনাক্ত করা হোক দ্রুত। শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আর যদি তা না করা হয়, তাহলে ধরে নিব প্রশাসন এর সাথে জড়িত। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে আছি। প্রশাসনকে বলবো, অপরাধীদের সনাক্ত করুন। নতুবা একজন শিক্ষার্থীও যদি ক্ষতির শিকার হয়, এর দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।
এর আগে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে টিএসসির ডাস চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। যদিও পরবর্তীতে ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট না থাকায় এর পরের দিন তাদেরকে ছেড়ে দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. লিটন কুমার সাহা বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে সাথে সাথেই গিয়েছিলাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ জানান, ঘটনায় জড়িতদের ধরতে কাজ চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সনাক্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।