২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেইজিং এমন যেকোনো কিছু এড়িয়ে চলছে, যেটা তাদের নিরপেক্ষতা নীতির সঙ্গে আপস করতে হয় অথবা কোনো একটা পক্ষ নিতে হয়। নিরপেক্ষতা দেখানোর কারণে কোপেনহেগেন সম্মেলনে চীন অংশ নেয়নি। কেননা, ডেনমার্ক নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটোর সদস্যদেশ। যদিও রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু ইউক্রেনে সামরিক সমর্থন দেওয়ায় ক্রেমলিন দাবি করে আসছে, এ যুদ্ধে ন্যাটো সম্পৃক্ত। রাশিয়া ছাড়া কোপেনহেগেন সম্মেলনে গেলে চীনের নিরপেক্ষ অবস্থানে কালিমার দাগ পড়ত। এর বিপরীতে সৌদি আরব দক্ষিণ বিশ্বের মাঝারি শক্তির দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। চীনের দিক থেকে বিবেচনা করলে আয়োজক হিসেবে গ্রহণযোগ্য। তবে প্রচলিত সব ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করে ইউক্রেন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। এরপর শুরু করে জ্বালানিযুদ্ধ। তারা ইউক্রেনের সব বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করে ও পুরো জাতিকে বরফে জমিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতেও তারা সফল হয়নি। এখন তারা নেমেছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো যুদ্ধকৌশল খাদ্যযুদ্ধে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য কৌশল নীতি উত্তেজনা প্রশমন মতবাদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।সাম্প্রতিক মাস গুলোতে ওয়াশিংটন তার শত্রু তেহরানের সঙ্গে ছোট আকারের চুক্তি করেছে। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত লেবাননের মধ্যে সমুদ্র সীমানার বিরোধ নিষ্পত্তিতে চুক্তি সই করতে মধ্যস্থতাও করেছে। কিন্তু আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তিচুক্তির প্রসঙ্গ এলে যুক্তরাষ্ট্র একটি সমন্বিত বড় চুক্তির প্রত্যাশা করে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সহযোগিতায় সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া যে শুরু হয়েছে, তার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা গিয়েছিল এ বছরের জানুয়ারি মাসে।
সৌদি আরবের কর্মকর্তারা তাঁদের জাতীয় স্বার্থ কী হবে, সে বিষয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করেছেন। এর
মধ্যকার চুক্তিগুলো হচ্ছে, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি কার্যকর সামরিক জোট গড়ে তোলা, রাজনীতিমুক্তভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সৌদি আরবে অস্ত্র বিক্রি করা এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণসহ পারমাণবিক কর্মসূচির অনুমোদন। যুক্তরাষ্ট্র যদি এই শক্তিগুলো মেনে নেয়, তাহলে এর প্রতিদানে সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে। সৌদি আরবের প্রস্তাবটি মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেনের 'আঞ্চলিক সংহতি’ প্রতিষ্ঠার যে কৌশল নীতি তার বিরোধী। কেননা, তেহরানকে বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এটা অর্জন সম্ভব নয়। বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্র নীতি যাঁরা প্রণয়ন করেন, তাঁরা আব্রাহাম অ্যাকর্ড বা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তিচুক্তির সফলতা সম্পর্কে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পর চুক্তিটি সম্পর্কে প্রথম কথা বলেন।যদিও দৃশ্যপটে বাইডেনের কূটনীতিকেরা আবার তৎপর হয়ে উঠেছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কিছু অভূতপূর্ব অগ্রগতি ঘটেছে। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ইসরায়েলের পর্যটনমন্ত্রী হায়েম কাটজ রিয়াদে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ পর্যটন সম্মেলনে যোগ দেন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনে সৌদি আরবের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত নায়েফ আল-সাদিরান রামাল্লাহ সফরে যান। ১৯৬৭ সালের পর এই প্রথম সৌদি আরবের কোনো প্রতিনিধি পশ্চিম তীরে সফরে গেলেন। সৌদি আরব ঘোষণা দিয়েছে যে তারা তাদের আঁতুড়ঘরে থাকা পারমাণবিক কর্মসূচির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মান নিশ্চিত করবে। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, তাঁর দেশ ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছেছে।
এরপর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভবিষ্যদ্বাণী করেন, বিশ্ব একটা নাটকীয় পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান অবশ্য বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি বড় কোনো পরিবর্তন হচ্ছে এমনটা তিনি আশা করেন না। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সতর্ক করে দেন যে ফিলিস্তিনের জনগণ যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের সম্পূর্ণ আইনসম্মত ও জাতীয় অধিকার না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে কোনো শান্তিপ্রক্রিয়া টেকসই হবে না। সৌদি আরবের ব্যাপারে আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বাইডেন প্রশাসন যে ঝটিকা কূটনৈতিক তৎপরতা নিয়েছে, সেটার প্রশংসা করা উচিত। কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, সে বিষয়টিকে তারা খাটো করে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এমন চুক্তি থেকে সরে আসতে হবে, যেখানে একটি বা দুটি দেশ জয়ী হয়।
যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে যে সমন্বিত বড় চুক্তি করতে চায়, তার জন্য ছোট ছোট চুক্তি করেই এগোতে হবে। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে তখন শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন চলছিল। সম্মেলনের একফাঁকে আলোচনায় দেখা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিন নেতার এই সাক্ষাৎ বেশ গুরুত্ব পায়। কেননা, ওই সময় বিশেষ একটি অর্থনৈতিক করিডরের ঘোষণা দেন মোদি। এই করিডর ভারত থেকে শুরু হয়ে ইউরোপ অবধি যাবে। মাঝখানে যুক্ত করবে মধ্যপ্রাচ্যকে। নাম ‘ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডর’ বা আইএমইসি। এশিয়া ও ইউরোপকে যুক্ত করা এই করিডর শুধু অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নয়, বরং ভূরাজনৈতিকভাবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
মূলত ভারত থেকে শুরু হয়ে ইউরোপ অবধি রেল ও নৌ নেটওয়ার্ক চালুর পরিকল্পনা করেছেন মোদি। তাঁর মতে, এতে পুরো এশিয়া ও ইউরোপ লাভবান হবে। দুই অঞ্চলের মধ্যে সহজে ও কম সময়ে পণ্য পরিবহন করা যাবে। এ ছাড়া শক্তি সম্পদ বিনিময় ও ডিজিটাল যোগাযোগও বহুগুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদির উচ্চাভিলাষী এই প্রকল্প আরেকটি কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো, এই করিডরকে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের আলোচিত বেল্ট অ্যান্ড রোড বা বিআরআই উদ্যোগের বিকল্প ভাবা হচ্ছে। আর এ কারণেই এশিয়া কিংবা ইউরোপের না হয়েও জো বাইডেন মোদির হাতে হাত রেখেছেন।বিআরআই এমন একটি প্রকল্প, যা চীনের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্য এশিয়া, রাশিয়া এবং ইউরোপকে যুক্ত করছে। এর বিপরীতে মোদির অর্থনৈতিক করিডরে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার বিষয়ে ফরেন পলিসি সাময়িকীর এডিটর-ইন-চিফ রবি আগারওয়াল বলেন, নরেন্দ্র মোদির এই অর্থনৈতিক করিডরের পরিকল্পনা সহজভাবে বলতে গেলে এমন কিছু, যেটা চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন স্বার্থকে আরও বাড়িয়ে দেবে। সি চিন পিংয়ের বিআরআই উদ্যোগ ঘোষণার এক দশক হয়েছে চলতি বছর। তবে বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, এর মাঝের সময়টায় বিআরআই উদ্যোগের অগ্রগতি অনেকটাই শ্লথ হয়ে এসেছে। এর অন্যতম কারণ, চীনা অর্থনীতির গতি কমে আসায় এ উদ্যোগের বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ আগের তুলনায় কমেছে। ইতালির মতো ধনী দেশ বিআরআই উদ্যোগ থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে। শ্রীলঙ্কা ও জাম্বিয়ার মতো দেশ বিআরআই উদ্যোগের আওতায় নেওয়া ঋণ পরিশোধে অপারগতার কথা জানিয়েছে। বিআরআই উদ্যোগ আরও কিছু কারণে বেশ সমালোচিত। এর মধ্য রয়েছে সংযুক্তি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চীনের কৌশলগত ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়িয়ে নেওয়ার সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা, দুর্নীতি, স্বচ্ছতার অভাব, স্থানীয়দের চাহিদার প্রতি মনোযোগ না দেওয়া, সার্বভৌমত্বের প্রতি অবহেলা প্রভৃতি।
এই মত থিঙ্কট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ফেলো গিরিশ লুথারার। কানেক্টোগ্রাফি: ম্যাপিং দ্য ফিউচার অব গ্লোবাল’ বইয়ের লেখক পরাগ খান্না বলেন, ‘বিআরআই এত বড় পরিসরে একটি উদ্যোগ যে এর তুলনায় মোদির নতুন অর্থনৈতিক করিডরের পরিকল্পনা বেশ ছোট। তাই এটিকে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী বলাটা ঠিক হবে না। আপনি এর দিকে তাকিয়ে বলতে পারবেন না যে এটার বাস্তবায়ন ছাড়া দুনিয়া অচল হয়ে পড়বে। উচ্চাভিলাষী বিআরআই নীতি এগিয়ে নিতে গত জুলাই পর্যন্ত এক ট্রিলিয়নের বেশি ডলার খরচ করে ফেলেছে বেইজিং। ১৫০টির বেশি দেশ এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাই তো গিরিশ লুথারা বলেন, নরেন্দ্র মোদির এ উদ্যোগ আঞ্চলিকতার সীমানা ছাড়িয়ে একটি বৈশ্বিক উদ্যোগের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপকে সংযুক্ত করার অর্থনৈতিক করিডরের সমঝোতা স্মারক বেশ হালকা। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী ৬০ দিনের বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত এ উদ্যোগের আওতায় শুধু একটি ভৌগোলিক মানচিত্র বা কোন পথে পণ্য আনা-নেওয়া হবে, সেটা বানানো হয়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপকে সংযুক্ত করার অর্থনৈতিক করিডরে ভূরাজনৈতিক বেশ কিছু জটিলতা বিদ্যমান। যেমন এতে মিসর, ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের মতো দেশ সম্পৃক্ত। আঞ্চলিক রাজনীতিতে দেশগুলোর সম্পর্ক খুব একটা উষ্ণ নয়। তাই মিসরের সুয়েজ খালকে এড়িয়ে ভারত থেকে ইউরোপ পর্যন্ত পণ্য পরিবহন কতটা সাশ্রয়ী হবে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অর্থনীতিবিদ স্বামীনাথন আইয়ার টাইমস অব ইন্ডিয়ায় একটি নিবন্ধে লিখেছেন, ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপ অবধি অর্থনৈতিক করিডরকে সুয়েজ খালের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে। কেননা, এখন সুয়েজ খাল হয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপে সস্তায় পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে।
তাই নতুন এ উদ্যোগ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নত করলেও মিসরের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।গত বছরে এই জলপথে প্রায় দুই কোটি টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আরও কিছু বিনিয়োগ করা গেলে, এই পথে বছরে সাড়ে তিন কোটি টন পর্যন্ত খাদ্য রপ্তানি করা যেত, যা বিএসজিআইয়ের অধীনে রপ্তানি হওয়া মোট পণ্যের চেয়েও বেশি। তবে আশার কথা, কৃষ্ণসাগর ব্যবহার করে খাদ্যশস্য রপ্তানিতে ইউক্রেনকে অনুমতি দিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ কারণে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকেই মনে করছেন, বিএসজিআই চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে, জেদ্দা সম্মেলনে চীনের অংশগ্রহণের পেছনে সৌদি আরবের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক আরও মধুরতর করার উদ্দেশ্য কাজ করেছে।
২০২৪ সালে হংকং ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে যে হাঙ্গামার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তার আগেই দুই দেশ তাদের মধ্যের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ইচ্ছুক। পরিশেষে ইউক্রেনে আগ্রাসন থামাতে রাশিয়াকে চেপে ধরার পশ্চিমা প্রচেষ্টায় চীন কিছুটা সহযোগিতা করতে শুরু করেছে। চীনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপটি এ ক্ষেত্রে সূক্ষ্ম হলেও স্পষ্ট। মূল প্রশ্ন হচ্ছে, এ সবকিছুর পরও ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে চীনের যে অবস্থান, তাতে কি মৌলিক কোনো পরিবর্তন আসবে? এখন পর্যন্ত যা অনুমান করা যাচ্ছে,তার উত্তর হলো না। তবে এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তা হযত সময়ই বলে দেবে।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক